Thursday, November 24, 2016

ফিবোনাচ্চি

১ < ১ < ২ < ৩ < ৫ < ৮ < ১৩ < ২১ < ৩৪ < ৫৫ < ৮৯ < ১৪৪ < ২৩৩
এভাবে ক্রমশ প্রতিটা সংখ্যা এর পূর্বের সংখ্যার সাথে যোগ করে ক্রমশ যেতেই থাকবে...! এর যেনো কোনো শেষ নেই। যেনো এক বাটারফ্লাই বিশাল ইফেক্ট।  এই সংখ্যা তত্বর মাঝেই মহাবিশ্বের সব রহস্য লুকিয়ে আছে। প্রাণী দিয়ে শুরু করি। প্রটোজোয়া এমিবা থেকে ক্রমশ বড় প্রাণীর দিকে যেতে থাকি। এটা একটা সিম্বলিক উদাহরণ। নীল তিমি দৃশ্যমান সবচেয়ে বড় প্রাণী। কিন্তু বিশ্বপ্রকৃতির গানিতিক নিয়ম তো নীল তিমিতেই শেষ, তা বলছে না। তাহলে আরো ক্রমশ বড় থেকে বড় প্রানী থাকবে। কিন্তু এই প্রাণীরা কোথায়? সাপোজ একটা এমিবা নীল তিমির শরিরে বাস করে নীলতিমিযে আরেকটি জীবন্ত প্রাণী তা বোঝা সম্ভব নয়। তেমনি আমরাও একটা গ্রহের সমান যদি কোনো প্রাণীর দেখা পাই, গ্রহ মনে করেই পাশ কাটিয়ে চলে যাব। এটা একটা ফ্যাক্ট, তাহলে সেই গ্রহটা যদি একটা প্রানী হতে পারে, এর চাইতে বড় প্রানীও বিদ্যমান থাকা স্বাভাবিক...? আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম যে, পুরো মাহবিশ্বটাই আসলে এক জায়ান্ট ব্রেন। বিজ্ঞানের একটা শাখা তাই ভাবছে। পুরো মহাবিশ্বটা যদি একটা জায়ান্ট ব্রেন হয়, তাহলে আমরাতো এর ভেতরেরই মাল মশলা। আমার পিসি যখন নেট কানেক্টেড করি, সে কিন্তু একটা মেইন সার্ভার ইঞ্জিনের সাথে কানেক্টেড হয়। এভাবে কোটি কোটি পিসি, লেপটপ, মোবাইল ফোন, টেব গুগল বা এরকম বিশাল সার্ভার ইঞ্জিনের সাথে কানেক্টেড হয়ে সক্রিয় ভার্চুয়াল জীবন্ত হয়ে উঠে, মানে প্রতিটা পিসিই একটা মিনি-গুগল সার্ভার ইঞ্জিনে পরিণত হয়। এভাবে কোটি কোটি ডিভাইস মিনি-গুগল সার্ভার ইঞ্জিন হয়ে মূল গুগলেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। কেউ ডেল, কেউ এসার, কেউ লেনোভো, কেউ এইচপি এমন বিভিন্ন নামে আলাদা পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে। বড়াই করছে আমি ডেল আমি এইচপি, আমি তোসিবা। এক দারুন বর্ণবাদ। কিন্তু রুটস কিন্তু সেই গুগলই।

#সারাংশে বলছি, প্রতিটা ব্রেনই সেই মূল ব্রেনের প্রতিনিধি। এর যে তথ্য, উপাত্ত, অুনভূতি, বোধ, চেতনা, সেলফ ইমাজিনেশন সবই সেই মূল ব্রেন হতেই আসে। রেজিট্যান্স দিয়ে যতই তার শাখা প্রশাখা বিস্তার হোক না কেনো।